হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ:


বলা হয় বিপদ কখনো বলে–কয়ে আসে না। বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু—এমনটা আমরা প্রায়ই শুনি। এই রকম হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলে ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকের আগে আমাদের শরীর সংকেত দেয়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে একটা অস্বস্তি থাকে। ওই সংকেত বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ভয়ংকর কোনো পরিণতি থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

বিভিন্ন কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি অন্যতম কারণ। আবার অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে করোনারি রক্তনালি ব্লক হয়ে জায়গাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছু লক্ষণ রয়েছে যা জানা থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘদিন বা অন্তত এক মাস ধরে ঘটতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


১. বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভব হয়।


২. অনেক সময় বাহু, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভব হয়।


৩. অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে।


৪. অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা রকমের হয়ে থাকে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে অন্য লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়, যেমন ছোট শ্বাস, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা।


Comments

Popular posts from this blog

What is Git?

what Start Bootstrap? 10 Best Reasons to Use Bootstrap for Amazing Web Designs?

First-Time Git Setup: